ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্যবিধি মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা মানছে না কুতুবদিয়ায়

আবু আব্বাস সিদ্দিকী, কুতুবদিয়া ::
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করেন না। ফলে বেড়েই চলছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ। এ উপজেলায় ৭৭ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধির কড়া নির্দেশনা থাকলেও সাধারণ মানুষ তা আমলে নিচ্ছে না। ফলে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। এদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের কাছে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।

শুক্রবার (১৭ জুলাই) উপজেলার বড়ঘোপ বাজার, লেমশীখালীর চৌমুহনী, কৈয়ারবিলের বটতলী, দরবার রাস্তার মাথা, ধূরুং বাজার, আলী আকবর ডেইলের শান্তি বাজার, ঘাটঘর, তবলরচর বাজারসহ, দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ৯০ভাগ মানুষই মাস্ক ব্যবহার না করে সড়কে চলাচল করছে। চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই (শুক্রবার) পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৭৯৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে।
তন্মধ্যে ৭৯১ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে মোট ৭৭ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়। ওই ৭৭ জনের মধ্যে ৫৯ জন সুস্থ, চট্টগ্রাম শহরে আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অসুস্থ হয়ে ১৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতোকিছুর পরেও মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না সাধারণ মানুষ। হাটে বাজারে রয়েছে উপচে পড়া মানুষের ভীড়। চায়ের দোকানে দিচ্ছে আড্ডা। অন্তত ৯০ভাগ মানুষ এখনো মাস্ক ব্যবহার করছে না। এতে দ্বীপের করোনা ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপজেলার বড়ঘোপ বাজারের সোহেল বলেন, অহরহ মানুষ হাটে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে। মাস্ক ব্যবহার করছে না, স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না। কি হয় আল্লাহ জানে।

এব্যাপারে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় দিন দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সকলের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।

উল্লেখ, কুতুবদিয়ায় শুক্রবার (১৭ জুলাই) এ পর্যন্ত ৭৯১ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে মোট ৭৭ জনের রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া যায়। তন্মধ্যে, উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের ৩৮ জন, লেমশাখালী ইউনিয়নের ০১ জন, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ০২ জন, বড়ঘোপ ইউনিয়নের ১২ জন, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ০৪ জন, এবং বাকীরা বহিরাগত ( চাকুরীজীবি) ২০ জন।

পাঠকের মতামত: